ভালো কাজ করার জন্য খুব বেশী ভাবতে হয় না। ইচ্ছে করলেই করা যায়। আমার নিকট অনেক প্রতিবন্ধী মানুষ,বয়স্ক মানুষ আসে সাহায্য সহযোগিতার জন্য তাদের সহযোগিতা করতে পারলে মনটাই ভালো হয়ে যায়। সুযোগ পেলেই যে কোন ধরনের উপায় বের করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য কাজ করি। আমি আমার সহকর্মীদের বলে রাখি কোন চরম প্রতিবন্ধী ব্যক্তি থাকলে আমাকে জানানোর জন্য ।আমার কর্ম এলাকার মিডিয়া কর্মীগনও আমাকে সহযোগিতা করে থাকেন। একদিন আমার সামনে পরে এক জন প্রতিবন্ধী নারী । নাম তার পারভীন। তার ঠিকানা জানতে চাইলে জানায় বাবার বাড়ি বেতুয়া আট আনি পাড়া,ভূঞাপুর পৌরসভা উপজেলা ভূঞাপুর জেলা টাঙ্গাইল। বাবা হত । দরিদ্র মানুষ দিন আনে খায়। পারভীনের দুটি পা জন্মগত ভাবেই পঙ্গু। এক ফুট লম্বা হবে বড়জোর। তার পরেও পারভীনের বিয়ে হয় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপলোর মো: শহীদুল ইসলামের সাথে। বিয়ের পর তার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয়। তারপর একদিন পারভীনকে স্বামীর বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয় শহীদুল ইসলাম। পারভীনের খবর না নিলেও নিজের মেয়ের খবর নেয় শহীদুল। কিন্তু পারভীনের সাথে কোন কথা হয়না। মাটি দিয়ে হাটু গেড়ে চলতে গিয়ে রক্ত বের হয়ে যায়। আমি চিন্তা করলাম একটা হুইল চেয়ার দিলে তার চলাফেরা করা খুব সহজ হবে। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুরোধ করি হুইল চেয়ারের জন্য। ০৩(তিন) দিনের মধ্যে আমি ০২(দুটো চেয়ারের টাকা পেয়ে যাই। পারভীনসহ অন্য একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা:ইশরাত জাহান মহোদয়কে দিয়ে আমি চেয়ারটি পারভীনকে প্রদান করি। এভাবে আমি ভূঞাপুরে ১৫(পনের)টি চেয়ার বিতরণ করতে পেরেছি। আর পারভীনকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের শোপিছ তৈরীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
মো:শহীদুজ্জামান মাহমুদ
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার
ভূঞাপুর,টাঙ্গাইল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস